ঢাকা থেকে পালিয়ে বাগেরহাটে অবস্থান করছে করোনায় আক্রান্ত কিশোরঃ ২টি বাড়ি লকডাউন
বাগেরহাট থেকে হেলাল মল্লিকঃ
ঢাকার জাতীয় হ্নদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পালিয়ে আসা জিহাদ জোমাদ্দার (১৪) কিশোর ও তার পরিবারের সন্ধান পেয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও স্বাথ্য বিভাগ।
বুধবার বেলা এগারোটার দিকে জেলার সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এই পরিবারটির সন্ধান মেলে। পরে ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে । কিশোরসহ ওই বাড়ির ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা জনায়,গতকাল ঢাকা হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে করোনা রোগী পালানোর খবর বাগেরহাট জেলা প্রশাসন কে জানিয়েছেন এবং এর ব্যাবস্থা নিতে বলেছেন। তৎক্ষনিক খোজ খবর করা হয় এবং আজ দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বড় বাশ বাড়িয়া গ্রামে ওই কিশোরের পরিবারের সন্ধান মেলে। ওখানকার দুটি পরিবারকে লগডাউন করা হয়েছে।
স্থানীয প্রশাসনের মাধ্যমে বাড়ি থেকে নিরাপদ দুরত্বে ওই বাড়ি দুটির ওপর নজর রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও নিয়োগ করা হয়েছে বলে সুত্র মারফাত জানা গেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানায়, বাগেরহাট থেকে ওই কিশোরের বাবাব হ্নদরোগের চিকিৎসা করাতে তার কিশোর ছেলেকে নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল দিনগত গভীর রাতে অথাৎ ১৯ এপ্রিল জাতীয় হ্নদরোগ ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৯ এপ্রিল ওই কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহন করে। ঐদিন ছাড়পত্র নিলে চিকৎসকরা আইইডিসিআরে রিপোর্ট পজেটিভ হলে কুর্মিটোলা বিশেষায়িত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন আর নেগেটিভ হলে বাড়ী যেতে বলেন। রিপোর্ট না নিয়ে ওই কিশোরকে নিয়ে তার পরিবার পালিয়ে বাগেরহাটে চলে আসেন।
মঙ্গলবার আইইডিসিআরের পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। করোনা পজেটিভের কথা ফোন করে ওই কিশোরের বাবাকে জানালে তারা কোথায় আছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পেয়ে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে করোনা আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। কিশোরটি সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তার চিকিৎসা বাড়ি রেখেই দেয়া হবে। তার সংষ্পর্শে আসা পরিবারের ১৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। ওই কিশোরসহ পরিবারের নারী পুরুষ মিলিয়ে ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আশেপাশে আর কোন বাড়ি না থাকায় ওই বাড়ি দুটি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই