Header Ads

করোনাঃ জনশুন্য বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান



বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ 
প্রাচীন শহর বাগেরহাট। ইতিহাস আর ঐতিহ্যর অনেক কিছুই মিশে আছে এই শহরের সাথে। প্রায় ১৫শ শতাব্দিপুর্বে যোদ্ধা ও তুর্কি সেনাপতি উলুগ খান জাহান আলী (রহ) তৎকালীন আধুনিক খলিফাতাবাদ শহর প্রতিষ্ঠা করেন। সমস্ত আধুনিক সুযোগ সুবিধা ছিলো এই শহরে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্বঐতিহ্যের একটি নান্দনিক স্থাপনা ষাট গম্বুজ মসজিদ। খান জাহানের মৃত্যুর পর তার কিছু অতিউৎসাহী ভক্তবৃন্দবৃন্দ তার সমাধিকে মাজার বলে আখ্যা দেয় এবং তাকে পীর বলে আখ্যা দেয়।শুরু হয় মাজারের যাত্রা।সেই থেকে এখন পর্যন্ত চলছে। 

এখন দর্শনীয় স্থানে রুপ নিয়েছে এই মাজার,দীঘি। শুধু খান জাহানের মাজার আর ষাটগম্বুজ মসজিদ নয় রয়েছে অরো অসংখ্য নান্দনিক স্থান। ১ গম্বুজ মসজিদ,নয়গম্বুজ মসজিদ,ছয়গম্বুজ মসজিদ, চন্দ্রমোহল ইকো পার্ক, সুন্দরবন সহ অনেক স্খান।সারা বছর দেশের ও দেশের বাইরে থেকে অসংখ্য ভ্রমন পিয়াসু মানুষ এখানে ভ্রমনে অাসে। বিশেষ করে সরকারি ছুটি, ধর্মীয় উৎসব (ঈদ,কোরবানি, শবে বরাত) এ স্থানগুলো লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।করোনার দাপটে নেই পিকনিক স্পটগুলো পর্যটক শুন্য। ষাটগম্বুজ এবং মাজারের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঈদ যে বছর একদম লোকশুন্য এই স্থানদুটি। লোক নেই চন্দ্রোমহল ইকোপার্কে।
 

সুন্দরবনেও পূর্বের তুলনায় পর্যটক নেই বললেই চলে। চন্দ্রমহল ইকো পার্কের তত্বাবাধায়ক জানায়,এ বছর করোনার কারনে সব কিছু লগডাউন, দর্শনার্থী নেই বললেই চলে। আমাদের আয় এবছর ক্ষতির দিকে নির্দেশ করছে অথ্যাৎ খুব কম আয় হযেছে। অন্যবছরের তুলনায় খুব সামান্য। ষাটগম্বুজ মসজিদ ও মাজারেও নেই পর্যটক। মাজারের খাদেমগন বলেন, লগডাউন হওয়ার কারনে আশেপাশে বসবাসরত জনগন ছাড়া বাইরের কেউ আসে না, ইতিপুর্বে এমন দৃশ্য কখনোই দেখা মেলে নি। ঈদের একদিনেই বিশ্বঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদ কতৃপক্ষের আয় হয়েছে পুর্বের তুলনায় অনেক টাকা।। এদিকে জনশুন্য অবস্থায দর্শনীয় স্থানগুলোকে মৃত্যুপুরী তে রুপ নিয়েছে। নেই কোন কোলাহল, সব নিস্তব্দ্ধ যেন নিরব সবকিছু।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.