Header Ads

আমার উপহার কই-আমার প্রণোদনা কই?





আমার উপহার কই-আমার প্রণোদনা কই?
আমি চাই কার কাছে-আমি বলি কার কাছে?


শেখ আসাদুজ্জামান -

ত্রান নয়।আমার কাছে ওগুলো স্রেফ উপহার।
দুর্গত দিনে রাষ্ট্রিক সেই উপহার আমিও চাই।আমার পাওনা আমাকে দিয়ে ছবি তোলা যাবেনা।আমার ছবি তুলে এফবিতে তুলে ধরাটা কি অযৌক্তিক নয়! একবার ভেবে দেখা হোক।প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে যদি ছবি তোলা স্বাভাবিক হয়,তবে তার সেই রকম সংরক্ষনও জরুরী হয়ে দাঁড়ায়। আমার পাওনা আমাকে দিয়ে এসব করাটা কতটুকু সমীচীন তা আমার বোধগম্য নয়।ছবি তুলতেই হবে? তোলেন।আমার ছবি তোলেন।যত পারেন তোলেন।বলেন- আমাকে আসতে হবে কোথায়? এবার আমার পাওনাটা আমাকে দিয়ে দিলেই হয়! আমার উপহার আমি চাই।প্রণোদনা কই? গত দু মাসে তেপান্তর পাড়ি দেয়া হয়ে যাচ্ছে।বাহাত্তর হাজার কোটি টাকা! একেবারে সাধারন কিছু নয়! মাছি মারতে মারতে বেলা বয়ে যায়! কাজের কাজ হয়না কিছুই।যতদুর জানি,গার্মেন্টস মালিকরাই হয়তো সবার আগে প্রণোদনার টাকা পেয়েছে।শ্রমিকের বেতন ভাতার সমাধান কতটুকু হয়েছে? প্রণোদনা নিলেন,আবার প্রতিষ্ঠানও খোলা রাখলেন! ওই প্রতিষ্ঠান যদি করোনার উর্বরা চাষভুমিতে পরিনত হয়? দায়ীত্ব নেবেন?হয়তো নয়! নেবেনই বা কত জায়গায়? নানা কারনে মানুষ রাস্তায়।ছুটে চলেছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। ঝুকি সব জায়গায়!কোনো ঝুকি না নেয়া হোক- পেটের দায়? এটা কি এড়িয়ে গেলে হয়? আমাদের আইডি কার্ড আছে।আইডি নাম্বারকে ব্যাংক হিসাব নম্বরে রুপান্তরিত করে সব নাগরিকের এক মাসের চাল ডাল তেল নুনের পয়সা দেয়া হোক।কেউ ঘরের বাইরে যাবেনা।সংক্রমিত হবেনা করোনা!
হয়তো এভাবে দায়ীত্ব- নেবেননা। নিলেও তা থাকবে কাগজে কলমে বা ফেসবুক পত্রিকায়। গার্মেন্টস  শ্রমিকরা আসলে টাকা কামানোর মেশিন! তাদের মেশিন- যারা এই দেশটা চালায়! বলি- এই বন্দ বন্দ খেলা আর কতোকাল? এখনো বহু প্রতিষ্ঠান খোলা। দেখভাল করার যেন কেউ নেই।সমন্বয়হীনতা প্রকট! ১৪ দিনের একটা সত্যিকারের লগডাউন হলে তা মন্দ ছিলো কোথায়? এই যে ইদুর-বেড়াল খেলা এর শেষ কোথায়? আধারের হাতছানি দেশময়!
আমার ট্যাক্সের টাকায় চলা দেশ আধারময়! আমারও কষ্ট হয়! ভয় হয়-যে সত্য বলে তাকে অনেক সময় থামিয়ে দেয়া হয়। আমার টাকায় সরকার চালাচ্ছে - সরকারি চাকরীজীবিরা ঘরে বসে বেতন পাচ্ছে, আমার খবরটা কি সঠিক নেয়া হচ্ছেতো? ছোট ছোট বা নবীন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা কর্মীরা কেমন আছে? ওইসব প্রতিষ্ঠানেরই বা কি হবে? দিনের পর দিন কি এভাবে চলা যায়? উপায় নেই।চলতে হবে করোনায়! মেনে নিলাম।আরো মানতে চাই।সেই সাথে রাষ্ট্রের কাছে আমার সাময়িক উপহারটাও চাই।আমি একটা সমবায় সমিতির ব্যাবস্থাপক। সদ্য জন্ম নেয়া একটা প্রতিষ্ঠান কি পারে আমাকে দিনের পর দিন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতে? লাখো মানুষের জড়িত জীবন দুর্বিষহ! যতদুর জানি-আমরাও প্রণোদনার আওতায়!বাস্তবতায় তা কোথায়! প্রণোদনার সেই গাড়ীটা কোন রাস্তায়!জীবন কিন্ত যায় যায়!
এখনো মেলেনি দেখা।খবর পাইনি- কবে হয়।শুনেছি- হবে।কিন্তু কবে হবে? আমি একটা মাত্র স্থির চিত্র! আমি প্রতিচ্ছবি হাজারো প্রতিষ্ঠান আর লাখো কর্মচারীর। মানবেতর নয়- মানুষের মত যেন আমাদের বাঁচা হয়।রাষ্ট্রের কাছে আমারও চাওয়া থাকতে পারে।আমি চাই।আমি ভালো নেই! ত্রানের তালিকায় কিন্তু আমার নাম নেই!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.